শুক্রবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী, ২০১৫

পৃথিবীতে ভালোবাসার অভাবে যতগুলো সম্পর্ক না ভাঙে, তার চেয়ে বেশি ভাঙে অসামঞ্জস্যতার কারনে।
ঠোঁটে যত্ন করে রেড রোজ একে সেজেগুজে থাকা আহ্লাদী মেয়েটা তো কখনো হন্যে হয়ে টিউশনি খোঁজা প্রেমিকের দুঃখগুলো বুঝবেনা।
তার দুঃখ বড়জোর হবে টিপ কিংবা দুল হারিয়ে ফেলা পর্যন্ত।

ক্যারিয়ার আর ক্ষমতার পেছনে পাগলের মত ছুটতে থাকা ছেলেটা কখনো প্রেমিকার চোখে আকাশ খুঁজবেনা। কিংবা প্রেমিকাকে নিয়ে দুলাইন লিখবেনা।
তার কাছে এগুলোকে মেয়েলী ঢং কিংবা আদিখ্যেতা মনে হবে এটাই স্বাভাবিক।

মানুষগুলোর চাওয়া পাওয়া খুব অদ্ভুত! অসামঞ্জস্যতা অনেক স্বপ্নকে চাপা দিয়ে দেয়।

আমার এক বান্ধবীর বিয়ে হল কিছুদিন আগে।
স্বামীর সাথে বয়েসের পার্থক্য প্রায় ৯ বছর।
মেয়েটা চায় দুজন মিলে সমুদ্রের পাড়ে হাত ধরাধরি করে সূর্যাস্ত দেখবে, বেলি ফুলের মালা এনে তার খোপায় পড়িয়ে দেয়া হবে কিংবা তাকে হুট করে চমকে দিয়ে চিত্‍কার করে বলবে, "বড্ড ভালোবাসি পাগলী!"

তার স্বামী এগুলো পারেনা॥ কারন আবেগের সেই বয়সটা সে পার করে ফেলেছে।
ভারীক্কি চালে চলা কোন এক কোম্পানীর ম্যানেজারের পক্ষে বৌকে চিত্‍কার করে i love you বলাটা নিতান্তই বেমানান আর হাস্যকর!

আমার এক বন্ধু ছিল। প্রেমিকা তার সেই লেভেলের হাইফাই।ভীষণ ভালোবাসত! তবে শেষ পর্যন্ত বাস্তবতার কাছে  ভালোবাসা হার মেনেছে।
এয়ারকন্ডিশান রুমে জীবন কাটানো একটা মেয়ের পক্ষে টাকার ক্রাইসিসের নিদারুণ দুঃখ বুঝতে পারার কথা নয়।
শুধুমাত্র ভালোবাসা দিয়ে জীবন চলেনা, জীবন চলে বাস্তবতায়।

তাদের ভালোবাসায় এক ফোটা ঘাটতিও ছিলনা কিন্তু ঘাটতি ছিল সামঞ্জস্যতায়।অস
ামঞ্জস্যতা অনেক সত্য ভালোবাসাকেও টিকে থাকতে দেয়না।
ভালোবাসা যদিও ক্যালকুলেশান করে হয়না কিন্তু জীবন চালাতে গেলে ক্যালকুলেশন আবশ্যক।
জীবনে চলতে গেলে ভালোবাসা লাগে কিন্তু শুধুমাত্র ভালোবাসায় জীবন সত্যিই চলেনা।সত্যিই চলেনা

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন